চট্টগ্রামে নৌ বাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে বোমা হামলার ঘটনায় পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক আবদুল হালিম এ রায় দেন।
সাজা পাওয়ারা হলেন- জঙ্গি আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু রহমান, আবদুল গাফফার ও এম সাখাওয়াত হোসেন। এদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন পলাতক আছেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে বোমা হামলা ঘটনা ঘটে। এ সময় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাসহ ২৪ জন মুসল্লি আহত হন। পরে জঙ্গিরা মুসল্লিদের হাতে ধরা পড়ে।
তিনি জানান, ৯ মাস পর ২০১৬ সালের তিন সেপ্টেম্বর নৌবাহিনীর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। এর পর এক বছর ১০ মাস পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। এদের মধ্যে মোট ১৭ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বে নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, ফারদিন ২০১৬ সালের তিন এপ্রিল বগুড়ার শেরপুরে গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হন। এ কারণে তার নাম এ মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
Discussion about this post