উখিয়া সদরের মহাসড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে শৃঙ্খলা রক্ষায় ও সড়কের নিরাপত্তায় পুলিশ বক্সটি নামেই পড়ে আছে। উখিয়া সদর স্টেশনে পুলিশ বক্স থাকলেও সেখানে নেই কোন পুলিশ। আর এই পুলিশ বক্সটি তৈরি করার পর থেকে এভাবেই পড়ে আছে কয়েক বছর ধরে।
পুলিশ বক্সের পাশে গেলেই দেখা যায় বক্সের চারপাশে ছোট ছোট ভ্যান দাড় করানো আছে। শুধু তাই নয়, হকাররাও দখল করে বসে আছে পুলিশ বক্সের চারপাশ। ভিতরে তাকাতেই যেন মনে হয় এটি পুরনো কুড়েঘর।
উখিয়া সদরের এই পুলিশ বক্স পথচারীদের নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনের জন্য বছর খানেক আগে বসানো হলেও এখনো নিয়মিত কোন পুলিশ টহল নেই ও যানজট কমার কোন উপায়ও দেখছেনা সংশ্লিষ্টরা।
উখিয়া বঙ্গমাতা কলেজ সড়ক মাথার মোড়। এই মোড়ের পাশেই আছে এই পুলিশ বক্স। যেখানে সারাদিন যানজট লেগেই থাকে। সড়ক দখল করে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা, ক্ষতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এই পার্কিং আর যানজট দেখার কেউ নেই। যাদের এ সমস্যা সমাধানের কথা তারা সবাই যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। প্রায় তিন থেকে চারটি পার্কিং এই মোড়ের আশে পাশে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের কোন ছায়াও দেখা যায়না এই মোড়ে। যার ফলে বেপরোয়া ভাবে আইন না মেনে চালকরা গাড়ি চালায়। এরজন্য যানজট নিরসনও হচ্ছেনা, সড়কের শৃঙ্খলাও ফিরছেনা।
গাড়িচালকরা জানান, বক্সটি বসানোর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখনো যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের কোন ভূমিকা দেখা যায়নি। কিংবা ট্রাফিক পুলিশ থেকে কোন প্রকার নিয়মিত পুলিশ সদস্য দেয়া হয়নি। তাই এটি বসানোর পর থেকেই পুলিশ বিহিন পড়ে আছে উখিয়া সদরের এই পুলিশ বক্স।
উখিয়ায় তৈরি করা এ পুলিশ বক্সটি সচল রাখতে ও যান চলাচলের শৃঙ্খলা ফেরাতে সেখানে নিয়মিত পুলিশ দায়িত্বে থাকাটা জরুরী প্রয়োজন মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
এই পুলিশ বক্সে কোন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, উখিয়াতে দুটো পুলিশ বক্স। একটা কোটবাজারে, অন্যটি উখিয়া সদরে। উখিয়াতে ট্রাফিক পুলিশ জনবল সংকটে থাকায় সদরের পুলিশ বক্সে কোন পুলিশ দায়িত্বে নেই। তবে কোটবাজারের এদিকে যখন কোন ঝামেলা না থাকে তখন আমি মাঝে মাঝে সদরের বক্সে গিয়ে বসি। জনবল সংকটের জন্য সদরের ট্রাফিক পয়েন্টে সার্বক্ষণিক লোক দেয়া সম্ভব হয় না। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচলে শতভাগ শৃঙ্খলাও ফেরানো যাচ্ছে না।
Discussion about this post