ভোটার তালিকা হাল নাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য দেয়া শর্ত বাতিলের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) রাঙামাটি জেলা কমিটি।
রবিবার (৫ জুন ২০২২) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্নারকলিপি জমা দেয়া হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান এর নেতৃত্বে সংগঠনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদা আক্তার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হাবীব আজম, পিসিএনপি জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক হুমায়ুন কবির, পৌর কমিটির যুগ্ন সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, ছাত্র পরিষদ নেতা মোঃ আলমগীর।
স্মারকলিপিতে বলা হয় গত ২০মে ২০২২ থেকে আগামী ৯জুন ২০২২পর্যন্ত সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদেও কাজ শুরু হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায়ও এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কিন্তু আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকার বাসিন্দাদের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে আলাদা কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে।
বিশেষ করে স্থায়ী বাসিন্দা প্রমানের জন্য পৌরসভা বা ইউপি চেয়ারম্যানের সনদের বাইওে পাহাড়িদেও প্রথাগত নেতৃত্ব হেডম্যান/কার্বারীর সনদ এবং জায়গার সনদ চাওয়া হয়েছে। এ দুটি শর্তের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের বহু মানুষ ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হতে পারছে না। কেননা স্থায়ী বাসিন্দার ক্ষেত্রে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সনদ পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ মানুষের কাছে নিজস্ব রেকর্ডিয় জায়গা না থাকায় জায়গার সনদ নেই। জায়গা না থাকায়।
পাহাড়িদের প্রথাগত নেতৃত্ব হেডম্যান কার্বারীরাও এসব বাসিন্দাদের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে প্রত্যয়নপত্র/সনদ দিচ্ছেনা। এ অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষ নির্বাচন কমিশনের দেয়া এ দুটি শর্ত মানতে পারছেনা বিধায় তারা ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হতে পারছে না।
অথচ বাদ পড়তে যাওয়া এসকল মানুষ ও তাদের আত্মীয় স্বজন দীর্ঘদিন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছে। এ পরিস্থিতির শিকার বেশিরভাগ মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অ-উপজাতি তথা বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির।
পার্বত্যবাসীর ভোটার অধিকার নিশ্চিত করতে বেধে দেয়া শর্ত শিথিল করতে এবং হালনাগাদের সময়সীমা বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হয়।
Discussion about this post