কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় আবারো চারজন কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ের গহিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেরমুখে এ চারজন কৃষককে অপহরণ করেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভোক্তভোগী পরিবারগুলো।
পরিবারগুলোর দাবি, টেকনাফের বিশাল এ পাহাড়টি ঘিরে একটি রোহিঙ্গা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপের অবস্থান রয়েছে র্দীঘদিন ধরে। এর আগেও অনেক লোকজনকে অপরহরণ করা হয়। এরমধ্যে কেউ এসেছে মুক্তিপণের টাকা দিয়ে। আবার কেউ এসেছে পুলিশের অভিযানের চাপের মুখে সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে যাদের অপহরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করেনি সন্ত্রাসীরা।
রোববার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকার পাহাড়ে খেত পাহারারত এসব কৃষককে অপহরণ করা হয়েছে।
অপহৃত চারজন হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম, গুরা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান, রাজা মিয়ার ছেলে মুহিব উল্লাহ ও তার ভাই আব্দুল হাকিম।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহৃত আব্দুস সালামের ছোট ভাই দলিল লেখক (মুন্সী) রফিক আহমদ তাকে ফোনে অপহরণের তথ্য জানানোর পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
অপহৃত কৃষকের স্বজনরা জানান, রাতে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল ভুট্টাখেতে এসেছিল। তাদের পাহাড়ের দিকে তাড়িয়ে দিয়ে টং ঘরে এসে ঘুমিয়ে ছিলেন কৃষকেরা। সেখান থেকে ১৫-২০ সন্ত্রাসী অস্ত্রের মূখে চারজনকে অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেছে। খেতে রক্তের দাগও দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় চেযারমানের মাধ্যমে বিয়ষটি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাসির উদ্দিন মজুমদার বলেন, পরিবারগুলোর কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওসি আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলের আশপাশে অভিযান শুরু করেছেন।
Discussion about this post